ঋতুরাজ বসন্ত: প্রকৃতির নবজাগরণ
ভূমিকা:
বাংলা ঋতুচক্রের ছয় ঋতুর মধ্যে বসন্তকে বলা হয় "ঋতুরাজ" বা ঋতুর রাজা। এটি ফাল্গুন ও চৈত্র মাসব্যাপী স্থায়ী থাকে এবং শীতের বিদায় ও গ্রীষ্মের আগমনের মধ্যে এক সুন্দর সেতুবন্ধন সৃষ্টি করে। এই ঋতুর আগমনে প্রকৃতি এক নতুন রূপে সেজে ওঠে, চারদিকে ফুলের সুবাস ও প্রাণের স্ফূর্তি দেখা যায়।
বসন্তের বৈশিষ্ট্য:
১. প্রকৃতির নবজাগরণ: শীতের রুক্ষতা কাটিয়ে গাছপালা নতুন পত্রপল্লবে সেজে ওঠে। শিমুল, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া, আম্র মুকুলে ভরে যায় চারদিক।
2. বসন্তের বাতাস: এই ঋতুর বাতাস মৃদু ও মনোরম হয়, যা প্রকৃতির সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
3. বসন্তের উৎসব: বসন্ত মানেই উৎসবের ঋতু। বাংলায় "বসন্ত উৎসব" এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের "দোলযাত্রা" (হোলি) অন্যতম প্রধান উৎসব।
4. কবিতা ও সংগীতে বসন্ত: বাংলা সাহিত্য ও সংগীতে বসন্ত ঋতুর বিশেষ প্রভাব রয়েছে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলামসহ অনেক কবি-সাহিত্যিক বসন্ত নিয়ে অসংখ্য কবিতা ও গান রচনা করেছেন।
5. প্রাণের উচ্ছ্বাস: এই ঋতুতে মানুষের মনেও এক আনন্দের আবহ তৈরি হয়। প্রেম-ভালোবাসার আবহে প্রকৃতি ও প্রাণীজগৎ যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পায়।
উপসংহার:
বসন্ত শুধু একটি ঋতু নয়, এটি প্রকৃতির নবজন্ম ও জীবনের নতুনতর আহ্বান। এই ঋতুর সৌন্দর্য ও আবহ সবার হৃদয়ে আনন্দের সঞ্চার করে এবং নতুন আশার বার্তা বহন করে নিয়ে আসে। এজন্যই বসন্তকে বলা হয় "ঋতুরাজ"
0 Comments